ওয়েবসাইট সম্পর্কে
আপনাদের সকলকে এই ফেসবুক পেজে/ ওয়েবসাইটে সু স্বাগতম জানাই। সারা বিশ্বের বিরলতম প্রতিভা, অন্যতম শ্রেষ্ঠ মনীষী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত “বিশ্বপরিচয়” বাংলা বিজ্ঞান সাহিত্যের এক উল্লেখযোগ্য ও সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ। এই গ্রন্থটি রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন তাঁর জীবন সায়াহ্নে এসে। বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ থেকে এই বই প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩৪৪ বঙ্গাব্দের (১৯৩৭ সালের) আশ্বিন মাসে। বইটি প্রকাশের সাথে সাথেই এর বিপুল চাহিদার জন্যে বইটি ওই বঙ্গাব্দের পৌষ মাসেই দ্বিতীয় সংস্করণ ও মাঘ মাসে পুনর্মুদ্রণ করতে হয়। এখানে উল্লেখ্য যে, বইটি উৎসর্গ করা হয় অন্যতম সেরা বাঙালি তথা ভারতীয় বিজ্ঞানী আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসু-কে। এরপর বইটির বিভিন্ন সংস্করণ প্রকাশিত হয় আজও বাংলা বিজ্ঞান সাহিত্য জগতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। এই বইয়ে রবীন্দ্রনাথের বিজ্ঞান-চিন্তার সাথে যেমন পরিচয় লাভ করা যায় ঠিক তেমনি আধুনিক বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি প্রাচীন বা পুরাতন আমলের বিজ্ঞান গবেষণারও হদিশ পাওয়া যায়। এই বৈশিষ্ট্যগুলোই এই বইটিকে এক অনন্য বিজ্ঞান গ্রন্থ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে তুলেছে।
এই বছর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই “বিশ্বপরিচয়” ওয়েবসাইটটি ও একটি ফেসবুক পেজ তাঁর প্রতি এক শ্রদ্ধার্ঘ্য হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি সর্বস্তরের মানুষ যেন এই বইয়ের মধ্যে রাখা বিপুল বিজ্ঞানের রস লাভ করে সমৃদ্ধ হয় তারও এক প্রচেষ্টার ফল হল এই পেজ/ওয়েবসাইটটি। বেশ কয়েক বছর আগেই বিভিন্ন স্লাইড তৈরি করে এই বইটি সকলের সামনে নিয়ে আসার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। বিশ্বভারতী প্রকাশনার সম্মতি অপেক্ষায় ছিলাম, অবশেষে সম্মতি পেয়ে সেগুলোকেই পুনর্ব্যবহার বা পুনর্গঠনের ফলে তৈরি হল এই ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজ। এই কাজের জন্যে বিশেষ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ ও উইকিসংকলন ওয়েবসাইটটিকে।যে সমস্ত সাইট থেকে চিত্রগুলি নেওয়া হয়েছে সেগুলোর প্রতিও একান্তই ঋণী। আশাকরি, সকলের এই ডিজিটাল প্লাটফর্মে “বিশ্বপরিচয়” পড়ে ভালোই লাগবে। আমার ভালো লাগবে যদি পাঠকদের থেকে গঠনমূলক সমালোচনা এবং সাইট/পেইজটিকে আরও উন্নতি করার ব্যাপারে মতামত পাওয়া যায়। তাই সবার কাছে বিশেষ অনুরোধ যে আপনারা অবশ্যই পড়বেন ও মতামত জানাবেন। সবাই ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদান্তে
ইন্দ্রনীল মজুমদার
কলকাতা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন